হরিশ্চন্দ্রপুর

বিজেপি কর্মীর উপর হামলা! প্রতিবাদে সাংসদের থানা ঘেরাও অভিযান

 

বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ তথা উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।

    উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত মেম্বার তথা বিরোধী দল-নেত্রী মন্দিরা দাস ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু শাসকদলের অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করেন। এদিন কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।

    এদিন বিক্ষোভ স্থলে সাংসদ খগেন মুর্মু অভিযোগ তোলেন, এলাকার পঞ্চায়েত মেম্বারের স্বামী পূজন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা সাহেব দাস দুর্জয় দাস সহ আরও অনেকে পিপলা কাশিমপুর এলাকায় বিগত দুই দিন ধরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলার জেরে এলাকার বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীর বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে, চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। এদিন এরই প্রতিবাদে আমরা থানা ঘেরাও করলাম। সামনের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে। আমাদের কর্মীরা তৃণমূল গুন্ডা বাহিনীর হাতে মাঝে মাঝে এইভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। অবিলম্বে এদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

 

    এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে বিগত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয় লাভ করছে। এখন সামনে ভোট বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।

 

    এদিকে সকালে বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পিপলা কাশিমপুর এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলা। তাদের দাবি এলাকার বিজেপির কর্মীরা, ক্রমাগত হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এলাকায়। অবিলম্বে এর বিহিত না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন তারা।